• ক্রিকেট

অাসছে বছরই বিশ্বকাপ

পোস্টটি ১২৬৯১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

অাইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বশেষ অাসরটি গত বছর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হয়। অাগামী বছর একই জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে অান্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অাসর "Cricket World Cup (CWC2019)"। বাকি মাত্র একটি বছর।

অাগামী ১০ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। ২০১৯ বিশ্ব কাপে অংশ নেবে দশটি দেশের জাতীয় দল। এদের মধ্যে সরাসরি অংশ নেবে অাইসিসি ওয়ান ডে রেংকিং এর শির্ষ অাট দল। অার বাকি দুটি দল অাসবে বাছাই পর্ব উতরে। বাছাই পর্বে অংশ নেবে অাইসিসি ওয়ানডে রেংকিং এর নয় থেকে চৌদ্দ তম অবস্থানে থাকা দল গুলো।

_20180218_130609

এইসব তথ্য অামরা কম বেশি সকলেই জানি। অামরা অারো একটি বিষয় ভালভাবেই জানি যে বাংলাদেশ অনেক অাগেই বিশ্বকাপে অংশ গ্রহন নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করা অার বিশ্বকাপ জেতার মধ্যে অনেক পার্থক্য অাছে। এক দল পরিণত অাত্নবিশ্বাসী ধারাবাহিক ক্রিকেটার নিয়ে জাতীয় দল তৈরি করলেই বিশ্বকাপ ঘরে উঠবেনা। একটি কার্যকর  টিম ম্যানেজমেন্ট একদল অভিজ্ঞ কোচিং স্টাফ ও সেই দলের সঙ্গে দিতে হবে। তারপর প্রত্যককে প্রত্যেকের জায়গা থেকে পরিশ্রম করতে হবে। তবেই কাঙ্খিত বিশ্ব শিরোপা  নাগালে অাসবে।

অাসছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স কেমন হবে? সমর্থকরা সব সময় অাসাবাদী। কিন্তু সমর্থকদের অাশাবাদ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। দলে চাই পারফর্মার অার যোগ্যনেতা। বিশ্বকাপের বাকি একবছর। এই একবছরে বড় পদক্ষেপ হতে পারে জাতীয় দলের ধারাবাহিক পারফর্মারদের সংখ্যা বাড়ানো। জাতীয় দলে যারা ধারাবাহিক নয় তাদেরকে পাঠাতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে যাতে বিশ্বকাপের অাগে দলীয় অাত্নবিশ্বাস ঠিক থাকে।

চাই একদল অভিজ্ঞ কোচিং স্টাফ। তাদের প্রধান অর্থাৎ হেড কোচকে হতে হবে যথেষ্ট অভিজ্ঞ, অান্তরিক ও অনুপ্রেরণাদায়ী। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে যথার্থ অান্তরিকতা রেখে দলের শৃঙ্খলা  ঠিক রাখাটা হবে তার লক্ষ। এভাবে একটি জাতীয় দল উজ্জীবিত হতে পারে।

দলের সাপোর্টিং স্টাফদের মধ্যে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে থাকে ম্যানেজার এর পদটি। কারণ জাতীয় দলের ম্যানেজারই সাধারণত খেলার মৌসুমে সম্পূর্ণ দলটিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বিশ্বকাপের মত বড় অাসরে দলের জন্য চাই একজন যোগ্যতম ম্যানেজার।

অাসছে বছরই বিশ্বকাপ। বর্ষ ব্যাপি মহা পরিকল্পনা নিয়ে এখন থেকে জাতীয় দলকে গোছাতে হবে। সমর্থকদের অনেক প্রত্যাশা। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চ থেকে অারো একবার অামাদের দল মাথা নিচু করে ফিরে অাসবে এমনটা প্রত্যাশিত নয়।

তাই অামাদের দলটাকে এখন থেকে প্রস্তুত করতে হবে। শ্রিলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে জাতীয় দলকে এলোমেলো মনে হয়েছে। জাতীয় দলের সাথে কোন হেড কোচ ছিলনা। গুরুর্ত পূর্ণ খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা গেছে চোট সমস্যা। দলের ম্যানেজারকে ডিপ্রেশন থেকে সরাসরি কথা বলতে দেখা গেছে। এই জাতীয় দলকে অামরা বিশ্বমঞ্চে দেখতে চাই না।

অতঃপর প্রত্যাশা এটাই যে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড এটা মাথায় রাখুক "অাসছে বছরই বিশ্বকাপ"। অার তারা যেন বড় উপলক্ষটিকে সামনে রেখেই সকল পদক্ষেপ নেয়। তারা যেন দৃঢ় ভাবে চায় যে বিশ্বকাপ ২০১৯ বাংলাদেশেই অাসুক।

_20180218_142424