• ফুটবল

২০১৮ বিশ্বকাপঃ প্লেমেকার - জিয়ন কাঠি যাদের পায়ে ! (পর্ব ১)

পোস্টটি ১৬৮৩১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

'৯৮ বিশ্বকাপের কথা মনে আছে? সেবারের বিজয়ী দল ফ্রান্সের কথা বললেই যার কথা মাথায় চলে আসে - জিনেদিন জিদান। অথবা, ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী ইতালি ? নিশ্চয় আন্দ্রে পিরলোর নাম ইতোমধ্যে মাথায় ঘুরে গেছে । এরা দুজনেই কিন্তু ছিলেন প্লেমেকার - যারা সাধারণত মধ্যমাঠে থেকে খেলার সুতোয় টান বা ঢিল দেন, আর তাতেই রচিত হয় ম্যাচের গতি প্রকৃ্তি।

কয়েকদিন পরেই রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে। চলুন, দেখা যাক, কোন প্লেমেকার দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারেন?  

( পরিসংখ্যান : www.whoscored.com)

১. পল পগবা

2333

ফুটবল মাঠে যদি অলরাউন্ডার তকমা কারো গায়ে সাটানো যায়, তবে নির্দ্বিধায় সেটির দাবিদার হবেন ফ্রান্সের পল লাবিলে পগবা। এটাক? ডিফেন্স? সেট পিস? গোল স্কোরিং? লিডারশিপ? - সব গুণাবলির সহজাত মিশ্রণ রয়েছে দীর্ঘদেহী ও শক্তিশালী  পগবার মাঝে। ক্লাব ও জাতীয় দলে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছেন ইতোমধ্যে। ক্লোজ ড্রিব্লিং, এটাকিং থার্ডে নিখুঁত পাস, এরিয়েল ডুয়েল আর বল ডিস্ট্রিবিউশনের মতো চমৎকার স্কিলের কারণে তাকে জিদান পরবর্তী  ফ্রান্সের  সেরা প্লেমেকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাথা ঠান্ডা করে যদি খেলতে পারেন, তাহলে হয়তো বা নতুন কিংবদন্তীর জন্ম আমরা দেখতে পারব।

এই মৌসুমে ম্যাচ: ৪২ , গোল: ৭ , এসিস্ট: ১১, রেটিং: ৭.৩৮

২. কেভিন ডি ব্রুইন 

3333

সদ্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ জয়ী ম্যান সিটির হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুম গেছে এই বেলজিয়ান তারকার।  লীগে সর্বোচ্চ এসিস্ট করা  এই 'কমপ্লিট' প্লেমেকার নিঃসন্দেহে বর্তমানের অন্যতম রোমাঞ্চকর খেলোয়ার। খেলার টেম্পু অনুযায়ী পজিশন চেঞ্জ করা, বিভিন্ন রেঞ্জের নিখুঁত পাসিং আর  কাউন্টার এটাকে যাওয়ার ক্ষিপ্রতা-   বেলজিয়াম কত দূর যেতে পারবে তা অনেকাংশে নির্ভর করবে এই দুরদর্শী - সৃষ্টিশীল তারকার খেলার উপর। 

এই মৌসুমে ম্যাচ: ৫৪ , গোল: ১৩ , এসিস্ট: ২০ , রেটিং: ৭.৭৮  

৩. ইস্কো

4444

স্পেন দল এমনিতেই বিশ্বমানের মিডফিল্ডারে ঠাসা। জাভি-ইনিয়েস্তা পরবর্তী যুগে - ডেভিড সিল্ভা, ফেব্রিগাস, থিয়াগো, এসেন্সিও দের ভিড়ে আলাদা করে নাম করতে হয় ইস্কোর। মাদ্রিদের এই দারুন চৌকস খেলোয়ার একি সাথে প্লেমেকার এবং সেকেন্ড স্ট্রাইকার। দারুন ড্রিব্লিং ক্ষমতা আর পোস্টে বাঁকানো ট্রেড মার্ক শটের জন্য দলে আলাদা করে তাকে চিনতে কষ্ট হয়না। কোচ লোপেতেগুই যদি সঠিকভাবে তাকে খেলাতে পারেন তাহলে লা ফুরিয়া রোজা সমর্থকরা নিশ্চয়ই চমতকার কিছু ফুটবল শৈলী আশা করতে পারেন তার কাছ থেকে।

এই মৌসুমে ম্যাচ: ৪৮ , গোল: ৮, এসিস্ট:  ৯, রেটিং: ৭.১১ 

4. মেসুত ওজিল

555

বর্তমান বিশ্বকাপ জয়ী দলের অভিজ্ঞ প্লেমেকার মেসুত ওজিল। চলতি মৌসুমে হয়তো নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেননি কিন্তু জাতীয় দলে বরাবরই জোয়াকিম লোর নির্ভরতার প্রতীক। জার্মান দলের শক্তিশালী টীমওয়ার্কের কারণে অনেকটাই ভারমুক্ত হয়ে খেলতে পারবেন। আর যদি সময়মতো ফর্মে ফিরতে পারেন, তাহলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ব্যতিব্যস্ত থাকতে হবে ডিফেন্সচেরা থ্রুবল বা ক্রস সামলাতে । এমনিতে মাঠে লো প্রোফাইলে থাকলেও গোল হওয়ার পর ঠিকই দেখা যায় বিল্ডাপ অথবা ফাইনাল পাসটা ঠিকই সরবরাহ করেছেন এই এসিস্টম্যান। 

এই মৌসুমে ম্যাচ: ৪০ , গোল: ৫, এসিস্ট: ১২, রেটিং:  ৭.৩৫