বিশ্বকাপের হাত ধরে......
পোস্টটি ১০১১৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
ব্লগের নীতিমালা
ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
১. যেখানে শুরুঃ
১৩ জুলাই,১৯৯৮। বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ওই সময়ের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এবং স্বাগতিক ফ্রান্স। ফাইনাল জমজমাট হওয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল কোন ম্যাচ কেউ আশা করেনি। আমিও না, অবশ্য আমাদের চাচা-মামা দের হিসেব আলাদা। উনাদের বিশ্বকাপ উন্মাদনা কোয়ার্টারেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ডেনিস বার্গক্যাম্পের ভলিতে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এর পর থেকে আমি বার্গক্যাম্পের ফ্যান। আচ্ছা, আরেকটা কথা - আমার চাচা বা মামা বয়সীরা মূলয় আশির দশকে ফুটবল দেখা শুরু করেছে, ম্যারাডোনার ছিয়াশির পারফর্মেন্স তাই তাদের আর্জেন্টিনা সমর্থন করতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে।
যাই হোক, ফিরে আসা যাক ফাইনালে।
পারিবারিক অনুষ্ঠানে সেসময় ছিলাম নানাবাড়িতে। রাতে খেলা দেখার জন্য আমার মতো আমার মামারাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। যদিও উনারা আর্জেন্টিনার ভক্ত কিন্তু ফাইনাল বলে কথা। আমার বয়স তখন মাত্র আট। নিজের দেখা প্রথম বিশ্বকাপে এমন এক দলকে সমর্থন করা শুরু করলাম যারা কিনা ফাইনাল খেলবে। এর চেয়ে উপভোগ্য ব্যাপার আর কি হতে পারে। ফাইনালটা জিতলে আর ধরে রাখবে কে? কিন্তু খেলা শুরু হতে না হতেই যেন কঠিণ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে গেলাম। মূহুর্তেই যেন চুরমার হয়ে গেল সবকিছু। জিদান ম্যাজিকে ফ্রান্স জিতে গেল। কিন্তু খেলা চলাকালীন সময়ে মামাদের মানসিক অত্যাচারের কথা আর নাই বলি।
অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও পরপর দুইবার ফাইনাল খেলা চাট্টিখানি কথা না। সুতরাং আমি মুটামুটি কনভিন্সভ হয়ে যাই যে ব্রাজিলই আসলে ফুটবলের সেরা দল।
তবে ওই বিশ্বকাপটা শুধু ব্রাজিল বলে না, আরো অনেক কারণেই বিশেষ কিছু। ধরুন, ফুটবল বিশ্বকাপের জন্যই কিন্তু ৩২টা দেশের নাম জানতে পারি। এটা ছাড়া ছাড়া ওই বয়সে চিলি, ক্যামেরুন, বেলজিয়াম কিংবা ক্রোয়েশিয়ার মতো নাম গুলো কখনোই জানা হতোনা। শুধু কি দেশের নাম? একেক দেশের নাম গুলোও ছিল একেক রকম। তবে একটা ব্যাপার সবচেয়ে চমক জাগানিয়া ছিল। ফুটবল ছাড়া সবসময় ক্রিকেট দেখার সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম জানতাম আগে থেকে, কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপ না দেখলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা যে আসলে কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত দেশ সেটা আরো অনেক পরে জানতাম। ওই দলে একটাও শেতাঙ্গ ছিলনা যেটা কল্পনার বাইরে ছিল, কারণ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সাদা মানুষ দেখে অভ্যস্ত ছিলাম।
রাত জেগে খেলা দেখাটা সেই বিশ্বকাপের আরেকটা মজার ব্যাপার। এর আগে ১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপমহাদেশে হওয়াতে রাত জেগে খেলা দেখার ধারণাটা নতুন ছিল। সেই সুবাদে সেবার পৃথিবীর সময় নিয়েও একটা ভাল ধারণা পাওয়া যায়। অবশ্য এই সময়ের জন্যই আবার অনেক খেলা চাইলেও দেখা সম্ভব হতোনা।
২. একটি বিরিয়ানি সন্ধ্যা ও একটি আনন্দ মিছিলঃ
রংধনুর আলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রঙ হচ্ছে নীল আর হলুদ। ব্রাজিলের দুইটা জার্সির রঙ ও তাই। চার বছর আগে ফাইনালে শেষ ব্রাজিলকে খেলতে দেখেছি, তাই আবার দেখার জন্য তর সইছেনা। সত্যি কথা বলতে, ব্রাজিলের সেবার বিশ্বকাপে উঠতে অনেক বাধা টপকাতে হয়েছিল। ২০০২ এর কথা বলছি। সেই বিশ্বকাপে স্কোয়াড নিয়েও ছিল অস্থিরতা। লুইস ফিলিপে স্কলারি ইনফর্ম রোমারিও কে নিলেন না দলে। সত্যি কিনা জানিনা তবে সে সময় প্রচলিত ছিল যে বিশ্বকাপ না জিতলে স্কলারিকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এক ব্রাজিলীয় সমর্থক। ওরে বাবা - স্কলারির সাহসতো অনেক। দলের জন্য কোন কিছুই পরোয়া করেননা, এমন কোচই তো চাই।
প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে তখন হাই স্কুলে। স্কুলের সবচেয়ে রাগি শিক্ষক হচ্ছেন গণিতের তপন স্যার। উনার ক্লাসে বেতের ''বারি" না খেয়ে থাকতে ভাগ্য সাথে থাকা লাগতো। সেই উনিই কিনা বিশ্বকাপের এক মাস ক্লাসকে বানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপ আলোচনার অনুষ্ঠানে। এরকম ব্রাজিল ভক্ত খুব কমই দেখেছি। ক্লাসে উনার সাথে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করা সহপাঠীদের সাথে চলতো কথা কাটাকাটি। ভালই লাগতো - অন্তত ফুটবলের উসিলাই কয়েকদিন শান্তিতে ক্লাস করা গেল।
একজন ব্রাজিলের ভক্ত স্বপ্নে যেভাবে বিশ্বকাপ দেখতে চায় ঠিক সেটারই যেন মঞ্চায়ন হলো ২০০২ এ।
১২ জুন, ২০০২ - সুইডেনের মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আলবিসেলেস্তেদের জিততে হতো, কারণ আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ১-০ তে হেরে তারা ছিল ব্যাকফুটে। পক্ষান্তরে সুইডেন ইংল্যান্ডের সাথে ড্র করে। এরকম সিচুয়েশনে দর্শকদের মনে একটু শংকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমার এলাকার আর্জনেটিনা সমর্থক গোষ্ঠী ছিল খুবই আত্মবিশ্বাসী। সেদিন সকালে এলাকার রাস্তায় উঠেই দেখি মহাকান্ড, আর্জেন্টিনা সমর্থক ভাইয়েরা খাসির চামড়া ছিলতে ব্যাস্ত। কাহিনী কি ভাই? আরে কিছুনা - আজকে পরের রাউন্ডে যাবতো তাই সেটার জন্য বিরিয়ানির আয়োজন করা হচ্ছে। একটু অপমানের সুরে বললো - তোদেরকেও দাওয়াত। বিকাল শেষ হতে না হতেই যেন পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে গেল। সুইডেনের সাথে ড্র করে গ্রুপ থেকে বিদায় নিল অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনা। সেদিন সেই বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত লোক আর পাওয়া যায়নি শেষ পর্যন্ত।
এর মাস খানেক পরেই নকাউট পর্বের সব বাঁধা পেরিয়ে ব্রাজিল আবারো পৌঁছে গেল ফাইনালে। আরেকটি ফাইনাল।
সেদিন মিছিল হলো, সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচগুলোর বড় জয়গুলো বাদে সেটাই বোধয় এই শতাব্দিতে এদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের সবচেয়ে বড় মিছিলের উপলক্ষ্য। হ্যা, সেদিন মিছিল হলো, আনন্দ মিছিল। সে এক অসাধারণ অনুভুতি। বর্ষার অবিরাম বর্ষণও যেন সেই উদযাপনে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। ব্রাজিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাও পাঁচবারের মতো - অবিশ্বাস্য, অপূর্ব, অনন্য। সেই সুবাদে আমি আরো একবার নিশ্চিত হলাম ব্রাজিলই বিশ্বের সেরা দল।
৩. একটি ধাক্কা, অতঃপর মাটিতে নেমে আসাঃ
২ জুলাই, ২০০৬। ম্যাচের প্রায় ৭০ মিনিট পার হয়ে গেল। রোনালদো ড্রিবল করে ফ্রান্সের ডিফেন্স ভেঙ্গে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু ডিসপোজেস্ট। ওইরকম মোটা শরীরেও প্রতিপক্ষের মনে কাঁপন ধরিয়ে দেয়ার লোক কেবল ওই ছিল। কিন্তু বড্ড দেরি করে ফেললেন সেই চেষ্টাটা করতে। কারণ ফ্রান্স তখন এক গোলে এগিয়ে। রোনালদোর এরকম আরো একটি আক্রমণকে আঁটকাতে গিয়ে ফাউল করলো ফ্রান্স, ফ্রিকিক। সেটি নিতে আসলেন সময়ের সেরা প্লেয়ার রোনালদিনহো। ওই পজিশন থেকে তিনি গোল করেছেন আরো অনেকবার। ঠিক চার বছর আগে তারও দূর থেকে গোল করেই তিনি ব্রাজিলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। আরেকবার পারবেন? পারবেন নিজেকে অমর করতে। মনে এমন অনেক প্রশ্ন আর চোখে মুখে শংকা নিয়ে ফ্রিকিক নিলেন "রোনালদিনিও", কিন্তু ইশ!!!!! শুকনো মুখে রোনালদিনহোর আফসোসের অভিব্যক্তি, নাহ, আর সম্ভব হলোনা। সেই ফ্রান্সেই কাটা পড়লো বিশ্বকাপে ব্রাজিলের টানা দশ ম্যাচের জয়রথ।
শেষ বাঁশি বাজতে না বাজতেই দৌড়ে চলে এলাম বাসায়। রাত ১ টা পার হয়েছে নিশ্চিত। চুপচাপ ভাইয়ার পাশে এসে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু একবারের জন্যও চোখ বন্ধ করতে পারছিলাম না। চোখ বুজলেই যেন ভেসে উঠছে রোনালদোর ছবি, রোনালদিনহোর ছবি। ইশ! ফ্রিকিকে যদি গোলটা হতো! রোনালদো যদি পুরো ফরাসি রক্ষণ দুমড়ে মুচড়ে একটি গোল দিতে পারতো!! আমি পুরোপুরি বিদ্ধস্ত, এটা কি হলো। আমি কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠার আগেই বিদায় নিল। তাহলে সমকালের 'গোল' ম্যাগাজিনে যেভাবে দেখালো ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হবে তার সব কি ভুল? জিদান পারলো, রোনালদিনহো কেন পারলোনা? ইশ! অঁরির গোলটা যদি বাতিল হতো! এমন হাজারো প্রশ্নে জর্জরিত আমার বিশ্বাস। ব্রাজিল কিভাবে হারতে পারে। ভক্ত হিসেবে এ যেন এক প্রচন্ড ধাক্কা।
বুঝলাম, এটাই ফুটবল। এখানে তুমি সবসময় জয়ী হবেনা। কখনো পরাজয় মেনে নিতে হবে। হয়তো এটাই জীবন। ফুটবল আর জীবন যেন মিলেমিশে একাকার। সেই ম্যাচটা ফুটবল নিয়ে আমার ধ্যানধারণাই বদলে দিল। প্রশ্ন শুরু হলো - ব্রাজিল প্রতিবারই ভাল দল নিয়ে যায়, তাহলে বিশ্বকাপ মাত্র পাঁচটা কেন? সংখ্যাতো আরো বেশি হওয়ার কথা ছিল। তাহলে তারা কারা যারা ব্রাজিলের চেয়েও ভাল ছিল? এরপর আমার আরো আগ্রহ তৈরি হয় ফুটবল নিয়ে, আরো গভীরে যেতে হবে। যেতে যেতে খুঁজে পেলাম ফুটবলকে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিংবদন্তিরা, জানলাম পুসকাস কে, জানলাম ক্রুইফ কে? জানলাম সত্তরের ব্রাজিলকে, বিরাশির ব্রাজিলকে। এরকম আরো অনেক কিছুই তখন পরিষ্কার হতে লাগলো, আর সেই সাথে প্রিয় দলের প্রতি আবেগের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের প্রতি তৈরি হতে শুরু হলো শ্রদ্ধা। সত্যিকারভাবে ফুটবলকে উপভোগ করতে হলে দুইদলের খেলাই বুঝতে হবে।
৪. বিশ্বকাপধারা বহিছে ভুবনেঃ
প্যাভিলিয়নের বিশ্বকাপ সংখ্যাতেই এই শিরোনামে একটা লেখা আছে। গত পাঁচ তারিখ দুপুর দুটাই হাতে আসে প্যাভিলয়নের বিশ্বকাপ সংখ্যা "কিক-অফ"। মাত্র সত্তর টাকায় এত সুন্দর একটা ম্যাগাজিন পাবো চিন্তা করি নাই। গত বিশ্বকাপের সময় ছিলাম চট্টগ্রাম, আমার নিজের শহরে। সেবারো প্যাভিলিয়নের বিশ্বকাপ সংখ্যা অফসাইড কিনি বাতিঘর থেকে। আসলে আমি যে খুব বই পড়ুয়া স্বভাবের তা না, কিন্তু বিশ্বকাপ আসলেই রঙ্গিন বই কিংবা পোস্টারের প্রতি আমার ফেসিনেশন সেই ছোট বেলা থেকে। তাই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই কাছের হকারকে আগেই বলে দি, যতগুলো পত্রিকা ম্যাগাজিন ছাপাবে - যেন তার সবগুলোই বাসায় আসে। আসতেই হবে, কারণ আমার সত্যিকার প্যাশন এই ফুটবলই। তাই নিজের কাছে যদি ফুটবলের তথ্যসমৃদ্ধ বই-ই না থাকে তাহলে কেমন ফুটবল ভক্ত হলাম।
আমি কেমন ফুটবল ফ্যান সেটা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে কিন্তু ফুটবলের এরকম একনিষ্ঠ অনুসারী হওয়ার পিছনে একমাত্র কারণ ছিল বিশ্বকাপ। সীমানার গন্ডি পেরিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ যেন বিশ্বায়নের সুবাতাস বয়ে দেয়ার একটা উপলক্ষ্য নিয়ে আসে চার বছর পর। এটা বুঝিয়ে দেয়, আমরা বিভিন্ন দেশে বিভক্ত হলেও আমরা একই গ্রহের বাসিন্দা।
বিশ্বকাপ যেন একটা টাইমস্কেল যার একটা কাঁটা একঘর এগুলেই আপনার সময় এগিয়ে যায় অনেকখানি। প্রতিটা বিশ্বকাপ আপনার জীবনের বিভিন্ন সময়ের সাক্ষী। আর তাই এই উপলক্ষ্য আসলে একেকটা ক্ল্যাসিক ম্যাচগুলা সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই ম্যাচ দেখার সময় আমি কি করছিলাম, কোথায় ছিলাম, কে ছিল পাশে কিংবা তখন আমার জীবনের জ্বালানি আসতো কোথা থেকে - এরকম অনেক কিছুই। বিশ্বকাপ স্মৃতির কথা লিখতে গেলে তাই পুরো একটা বই লিখে ফেলাও সম্ভব। কিন্তু সেই সময় কই - আরেকটি বিশ্বকাপ চলে এসেছে। আর আমার জীবনের গতিতেও একটু পরিবর্তন এসেছে । এটাই হচ্ছে বিশ্বকাপের বিশেষত্ব - চার বছরে আপনার জীবনের সামান্যতম পরিবর্তনও উপলব্ধি করিয়ে দিতে পারে সহজে।
- 0 মন্তব্য