• ক্রিকেট

মাহমুদউল্লাহ দ্যা ক্রাইসিস ম্যান

পোস্টটি ৩৩৪৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

নরম ঘোরের ঘুম তবে কি ভেঙেছে?
তবে ঐ চেয়ে দেখো অরাজক রাজ্যের রাজার শাসন!
ধ্বংস স্তূপে কাপেঁ হটাৎ ঐ রাজার রাজ্য!
এখনো বিপদ আছে অগ্রাহ্যে দাড়িঁয়ে
এবার তবে হলো সময় প্যাভিলিয়ন থেকে বেড়োবার!
মান বাচাঁতে সেই শু-শীতল লাল সবুজ রাজ্যের!

আজকের গল্প টা এক পর্দার আড়ালের এক নায়কের। তার ঘুমে তখনি ভাঙে যখনি বিপাকে পড়ে লাল সবুজ বাহিনী। তাকে আমন্ত্রন করা হয় তখনি যখন দল আর খুজেঁ না পায় দিশা। হ্যা প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এতোক্ষনে বুঝে গিয়েছেন কার কথা এতোক্ষন জানান দিচ্ছিলাম। তিনি আর কেউ নন তিনি আমাদের ভালোবাসার সাইলেন্ট কিলার! কি প্রিয় পাঠক নাম টা কি লিখতে হবে?  তিনি ভালোবাসার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর আপনাদের আমার এবং সবার ভালোবাসার রিয়াদ।

images (33)

কবিতার মতোই মাহমুদউল্লাহর ঘুম ভাঙানো হয় তখন যখন প্রতিপক্ষের রাজা মানে বোলিং এর তোপে গোটাতে শুরু করে দলের সব বড় বড় অস্ত্র। ঠিক তখনি তুরোপের তাসের মতো এমনকি শুখ তারার ন্যায় আকাশে দেখা দেয় এক বিদ্রোহী রাজার। প্যাভিলিয়ন ছেড়ে রাজা হাজির হয়ে যান বিদ্রোহী কণ্ঠে। গাইতে শুরু করে দেন বিদ্রোহী গান, কারণ বাচাঁতে হবে লাল সবুজের মান। সে আমাদের সাইলেন্ট কিলার। ক্যারিয়ারের পুরোটা কাটিয়েছেন শুধু সাইলেন্ট। এমনকি মুখেও ভার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কথা বলেন না খুব বেশি। শুধু নিজের দিনে হাতের ইউলো টা কলমের ন্যায় চালিয়ে মহাকাব্যিক জয়ের গল্প গেথেঁ যান ২২ গজে।

জয়ের গল্পে বা মান বাচাঁনোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও কখনো সেভাবে সুযোগে আসেনি নায়ক বেশে মাঠ ছাড়ার। আবার কখনো এসেছে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হয়েছেন দেশের ক্রিকেট ভক্তদের রাতের জয়োল্লাসের ত্রাস। আবার কখনো চোখে পানি নিয়ে মাঠে ছেড়েছেন কোটি ক্রিকেট ভক্তের হৃদয়ক্ষরনের গল্পের নায়ক হয়ে। এভাবেই মিশে গেছেন কোটি ক্রিকেট ভক্তের আনন্দ, বেদনা, অশ্রু জলের গল্প হয়ে।

কখনো ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়ে আবার কখনোবা ইনিংস মেরামত করে, কখনোবা ধ্বংস স্তুপের মধ্য থেকে টেনে তুলে এনে দিয়েছেন সম্মান জনক স্কোর, বাচিঁয়েছেন লাল সবুজের মান। আবার কখনো দেখা তাকে দেখা গিয়েছেন বিধ্বংসী রূপে। কখনো ধারন রূড়ভাব ধারন করে ম্যাচ জিতিয়ে ছেড়েছেন মাঠ। আর তাই দেশের মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার সাইলেন্ট কিলার। যে কিনা নিরবে করে যান নিজের কাজ কোনো শব্দ ছাড়াই। আর তাই কোটি ক্রিকেট ভক্তের কাছে মাহমুদউল্লাহ শুধু ম্যাচ জয়ীই নন একজন নিরব ঘাতক বা সাইলেন্ট কিলার ও বটে।

মানুষের ভালোবাসার সাইলেন্ট কিলারের উঠে আসার গল্প টা সবার মতো মসৃন ছিলো না। সবার মতো প্রতিষ্টানিক শিক্ষায় ক্রিকেটে আসেননি মাহমুদউল্লাহ। উঠে এসেছেন বিভাগীয় পর্যায় থেকে। আর বয়সভিত্তিক দল থেকে। ২০০৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের৷ এরপর নির্বাচক দের সুনজরে ২০০৭ সালে মাত্র ২১ বছরে গায়ে চাপান জাতীয় দলের লাল সবুজ জার্সি৷ সেই শুরু এরপর আর পিছনে ফিরতে হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কে।

images (35)

অভিষেকের শুরু থেকে জানান দিতে শুরু করেছিলেন নিজের সামর্থের। জানান দিতে শুরু করেছিলেন টাইগারদের ছোবলের আচঁ কতোটা ক্ষিপ্র। কতোটা ক্ষিপ্র হতে পারে নিজেদের দিনে। আর চিনাতে শুরু করেছিলেন নিজের জাত অভিষেক ম্যাচ থেকেই। অভিষেক টা রাঙাতে না পারলেও তখন থেকে রাঙাতে শুরু করেছিলেন ক্রিকেট ভক্তদের মন। অভিষেকে ৫৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস টা জানান দিচ্ছিলো ভালো কিছুরই বটে। এরপর আরো ৪ টি টি২০ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর রান ছিলো ২৮। ফল স্বরূপ মাহমুদউল্লাহ নেই পরের নিউজিল্যান্ড সফরে এবং ২০০৭ বিশ্বকাপ ও ২০০৮ ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার সাথে সিরিজে।

এর পর আবারো ২০০৮ সালে  ঘরের মাঠে আয়াল্যান্ডের সাথে ৪৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন শুরু রিয়াদের। কিন্তু হতে পারেননি ম্যাচ জয়ের নায়ক। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে আবারো চাপা পড়ে গেলো শেষ দিকে বিগ টুটালে গুরু দায়িত্ব পালন করা সেই ইনিংস। কিন্তু আফসুস করেননি মাহমুদউল্লাহ ও। কারন হয়তোবা জানতেন এই কাজ টি ক্যারিয়ারে আরো অসংখ্য বার করতে হতে পারে৷

একিই বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ২য় ওয়ানডে ম্যাচ মাহমুদউল্লাহ এর অপরাজিত ৫৮ রান। কিন্তু এবারো লাইম লাইটের বাইরে রিয়াদ?  কিন্তু কেনো?? বাংলাদেশ সেই ম্যাচ হেরে গিয়েছে ৭ উইকেটে। হুড়মুড়িয়ে উইকেট যাওয়া বাংলাদেশের হাল ধরতে বাংলাদেশ যেমন প্রয়োজন ছলো ঠিক তেমনি করে ইনিংস টি কে মেরামত করেছিলেন রিয়াদ কিন্তু বিধি বাম এবারেও ভাগ্য সায় দেয়নি।

২০০৯ এর শুরুর দিকে তখন বাংলাদেশ তখন ইউন্ডিজ সফরে৷ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আবারো হাসে রিয়াদের ব্যাট। কিন্তু হাসেনি তার ভাগ্য বিধাতা। সে তাকে রেখে দিলেন লাইম লাইটের বাইরে৷ সাকিবের আশরাফুলের দুই হাফসেঞ্চুরির আড়াল করে দেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৯ বলে ৪২ রানের সেই অতিমানবীয় ব্যাটিং। লাইম লাইটের বাইরে থেকেও যে আলো ছড়ানো যায় তার প্রমাণ যেনো ব্যাট হাতের বিদ্রোহের ন্যায় শেষ দিকে উইকেটে গিয়ে  গেয়ে আসতেন।

এরপর আসে ২০১০ সালে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রী-লংকার তিন জাতি সিরিজ। বদলাচ্ছিলো সময়, পারিপার্শিক সবকিছু কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভাগ্য যেনো থেকে যাচ্ছে সেই আগেরই মতো৷ যেনো নেই কোনো পরিবর্তন৷ তিনি জাতি সিরিজের ৪ ম্যাচে ৪৫, ৬০, ২৪, ৬৪ করেছিলেন। কিন্তু তখনও আসতে পারেননি নায়কের বেশে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ফর্মের ধরুন রিয়াদের ইনিংস গুলো ফুটে উঠেনি সেভাবে।

images (47)

এরপর করেছেন এমন অনেক রান। কখনো ৫০, ৩৮, ৪০ ২০, এইভাবে। আর থেকে যাচ্ছিলেন সিনেমার ক্যামেরাম্যানের মতো আড়ালে। তবে তখন কি সময় হয়েছিলো আড়াল ছেড়ে বেড়োবারর? হয়েছিলো কি খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসে নিজের জাত টা আবারো চিনিয়ে দেওয়ার?  হয়েছিলো কি সময় বিশ্ব মঞ্চে দেশ কে আবারো তুলে ধরবার। হ্যা পাঠক সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি রিয়াদ৷ আর তাইতো কষ্টের চিত্তে চোখের কোনে জমা করেছিলো ২০১২ সালের সেই এশিয়া কাপের ফাইনাল। স্ট্রাইকে থেকেও পারেননি রিয়াদ। পারেননি কোটি ক্রিকেট ভক্ত কে একটা শিরোপা এনে দিতে। পারেননি বুক ফুলিয়ে লাইম লাইটের নিচে আসতে। ফলাফল বাংলাদেশ ২ রানে পরাজিত। আর স্কোর কার্ডে এখনো ঝোনাকির আলোর ন্যায় মিটিমটি আলো হয়ে জ্বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৬ বলে ১৭ করে অপরাজিত!!

ঠিক একই বছরে রিয়াদের সামনে আসে আরো একটি দুঃস্বপ্নের ম্যাচে। বছরের শেষ দিকে আবারো উইন্ডিজ এর সাথে টি২০ ম্যাচে হার। এবং আবারো উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেবার ও পারেননি কিছু করতে। তামিমের ইকবালের তখনকার ক্যারিয়ার সেরা ৮৮ রানে মাটি চাপা পড়েছিলো রিয়াদের অপরাজিত ৬৪ রান। কিন্তু দিন শেষে আবারো অতিমানবীয় হয়ে আলো কেড়ে নিয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। ফলাফল বাংলাদেশ ২০ রানে পরাজিত৷

এতো কিছু হওয়ার পরেও ভেঙে যাওয়ার পাত্র তো তিনি নন। মানুষ সমালোচনা করবে তাতেও কিছু যায় আসে না। দেশের বিপদে কিছু একটা করাই যার কাজ তার তো এসব চিন্তা করলে হবে। এতো সব কিছুর পরেও হয়তোবা পেরেছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা অর্জন করতে। আর তাই হয়তোবা সুযোগ দিয়েছিলো বাংলাদেশের ৪ নাম্বার ব্যাটিং পজিশনের জুজু কাটাতে। কিন্তু নিন্দুকের দল শুরু করে দিয়েছিলো আবারো সেই সমালোচনা। কিন্তু তাতেও একটুও দমে যাননি আবারো দেখিয়েছেন কেনো তার উপর আস্থ উপর রাখা যায়। দেশ কে কিছু না দিতে পারা টাও হয়তোবা পুড়াচ্ছিলো তাকে। পুড়াচ্ছিলো কাছে গিয়ে ম্যাচ জিততে না পারার ব্যার্থ্যতা টা। আর ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির জুজু টা যেনো পেয়ে বসেছিলো তাকে।

images (42)

২০১৫ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে তখন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ বেচেঁ নিলেন সেই বিশ্বকাপ কেই নিন্দুকের বাকাঁ হাসির জবাব দিতে। আর কাটাঁতে নিজের সেঞ্চুরি জুজু। ঐতিহাসিক সেই বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ড হারানোর ম্যাচে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এবার চলে আসেন লাইম লাইটের নিচে। কিন্তু পরের ম্যাচেও সেই একিই পারফরম্যান্স দেখালেও সেদিন নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচে হেরে আবারো লাইম লাইটের বাইরে রিয়াদ। ফলাফল বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৩ উইকেটে। কিন্তু দল কে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার নায়ক কিন্তু তখন মাহমুদউল্লাহ এই ছিলেন। কিন্তু শেষ টা ভালোয় শেষ করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। বিতর্কিত সেই আউটের বেড়াজালে মাহমুদউল্লাহ আউট আর বাংলাদেশ ও বিদায় নিলো বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে। এবারো ভাগ্য বিধাতা সায় দেয়নি জয়ী বেশে দশে ফিরার। ফিরছেন  সেই এক রাশ আক্ষেপের স্মৃতি নিয়ে। তারপরেও বিশ্বকাপে আলোটা নিজের করেই নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ।

এরপর ২০১৬ সালে আবারো মাহমুদউল্লাহ করলেন ২০১২ সালের সেই এশিয়া কাপ ফাইনালের স্মৃতিরোমন্থন। আবারো ১ রানে হার ভারতের বিপক্ষে। তখনো উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ এর মতো সিনিয়র ক্যাম্পেইনার। কিন্তু দেশ কে জয়োল্লাসে মাতাতে এবারো ব্যার্থ্য তিনি। অতিরঞ্জিত বাউন্ডারি মারার প্রবনতায় বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১ রানে৷ সেখানে মাহমুদউল্লাহ হতে পারতেন ম্যাচ জয়ের নায়ক কিন্তু দেশে ফিরেছেন খলনায়ক হিসেবে। এরপর ভক্তকুলের মনে এটা ধারনা হয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ যদি কোন ক্লোজ ম্যাচ হেরে যায় সেখানে নেতৃত্বে থাকবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ!!

এরপর ২০১৭ তে আয়ারল্যান্ডের সাথে ট্রাইনেশন সিরিজে ১ম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ এর মান বাচাঁনো ৪৩ ডাকা পড়ে গিয়েছিলেন তামিম ইকবালের ৮০ রানের নিচে৷ এর ঠিক পরের ম্যাচে আবারো সেই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন কিন্তু হতে পারেননি নায়ক। মুশি, সৌম্যে হাফসেঞ্চুরির ধরুন আবারো জায়গা হয়েছে পর্দা আড়ালের নায়ক হিসেবেই।

images (46)

এরপর ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সাকিব রিয়াদ জুটির কথা কে না জানে?? দেশের সকল ক্রিকেট বোদ্ধারাই জানে সেই রেকর্ড জুটির কথা। সেই জুটি হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে রেকর্ড জুটি। কিন্তু আবারো ভাগ্য সায় দেয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সাকিবের ১১৪ রানের আড়ালে পড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের করা সেই অপরাজিত ১০২ রানের সেঞ্চুরি৷ ফলফাল স্বরূপ সাকিব ম্যান অফ দ্যা ন্যাচ আর রিয়াদ আবারো পর্দার আড়ালের নায়ক।

কিন্তু এবার যেনো সময় হয়ে ছিলো আড়াল ছেড়ে বেড়িয়ে এসে নিজের সামর্থ্যের আবারো জানান দেবার৷ আবার শুরু করার সেই বিদ্রোহের গান। আমারে তুমরা আবহেলা করো না। জেনে রাখো আমার ব্যাট হাসলেও জিতে যায় বাংলাদেশ। জিতে লাল সবুজ। জিতে যাও তোমরা। এশিয়া কাপ ২০১৮ এর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে রিয়াদ যেনো দিচ্ছিলো তাই সেই পরিচয়েই। আফগানিস্তানের রাসিদ খানে স্পিনের সেই জুজু কাটিয়ে রিয়াদ আবার এসেছিলেন লাইম লাইটের আলোয়। দল কে উপহার দিয়েছিলেন ৭৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস৷

images (49)

২০১৮ সালের সেই নিদাহাস ট্রফির কথা তো না বললেই নয়। টান টান উত্তেজনার সেই ম্যাচে আবারো মাহমুদউল্লাহ দেখালেন স্নায়ুচাপ কিভাবে জয় করে জয়টা নিজের করে নেওয়া যায়। ১৮ বলে ৪৩ রানের সুবাদে আমরা আবারো উঠেছিলাম আরো একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে। আর রিয়াদ সেদিন হয়েছিলো ম্যাচ জয়ের নায়ক!

এমন অসংখ্যা মাহমুদউল্লাহ নিজে হাতে জিতিয়েছেন বরং কখনো হারিয়েছেন বৈকি। কখনোবা হয়েছেন দলের প্রয়োজনে ক্রাইসিসি ম্যান। ক্রাইসিসি মোমেন্টে রান করেই হাসিয়েছেন দলকে৷ কখনোবা রান করেও থেকেছেন পর্দার আড়ালের নায়ক। কিন্তু রিয়াদ একটাই হয়। তার মতো এতো আগলে রখে কেউ খেলার যোগ্যতা কেউ দেখাতে পারেনি। আর তাই তিনিই আমাদের ক্রাইসিস পারসন আর পর্দার আড়ালের নায়ক!!