• ক্রিকেট

জেমস "ক্রিস্টোফার নোলান" এন্ডারসন

পোস্টটি ১৮৮৩ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

সে এক ঘুমের রাজ্য। স্বপ্নের রাজ্য, সেখানকার হিসেবের সাথে বাস্তবের সময় হিসেবের মিল নেই। সেই স্বপ্নময়ঘুমের রাজ্য থেকে ফিরে আসার একমাত্র উপায় হলো মৃত্যু, স্বপ্নের জগতে মৃত্যু আর এরপরেই আপনি ফিরতে পারবেন বাস্তবে। কিন্তু এইখানে স্বপ্ন আর বাস্তব গুলিয়ে গিয়েছে কব'এর কাছে। কোন জগত থেকে মুক্তি পেতে তাকে মৃত্যু বেছে নিবে সে? নিজের এই চিন্তার বিজ বপন করে দিয়েছিলো স্ত্রীর মাঝে। নিজেকে বাঁচাতে, নিজের ভাগ্যকে সরলরৈখিক পথে ফিরিয়ে আনতে। এই নিয়েই হলো গল্প, আর গল্পের নাম ' ইনসেপশন'।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সের ডানকার্ক সৈকতে আটকা পড়ে প্রায় চারলাখ মিত্রশক্তির সৈন্য। সেসব সৈন্যদের সমুদ্রপাড়ে বসে বাঁচার চিন্তা যে সমুদ্রের অপর প্রান্ত থেকে কেউ এসে তাদের বাঁচাবে অথবা মৃত্যুপ্রহরের। কারণ, বিপরীতের আরেক পাশে ওতপেতে আছে জার্মান সৈন্যরা, মাথার উপর ঘুরছে যুদ্ধ বিমান। আর এমন সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল সাধারণ মানুষের কাছে সহায়তা চাইলেন সৈন্যদের বাঁচাতে। যার ফলে প্রায় তিন লাখ ত্রিশ হাজার সৈন্য বেঁচে ফেরে। আর এই গল্প নিয়েই তৈরি ' ডানকার্ক '।

প্রতিটা জাদুর কৌশলে মোট তিনটি অংশ থাকে।প্রথম ধাপকে বলা হয় দ্যা প্লেজ; যেখানে জাদুকর সামান্য কিছু একটা দেখায়। দ্বিতীয় ধাপ হলো, দ্যা টার্ন, এই অংশে জাদুকর ওই সাধারণ বস্তুটা দিয়েই অসাধারণ কিছু একটা করে।যেমন বস্তুটিকে অদৃশ্য করে ফেলা বা এটাকে অন্য বস্তুতে রুপান্তর করা। কিন্তু এখানেই জাদু শেষ নয়।এখনো সবচেয়ে কঠিন ধাপটি রয়ে যায়।যেখানে আপনাকে ওই বস্তুটিকে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হয়। এই ধাপটিকেই জাদুকররা নাম দিয়েছেন দ্যা প্রেস্টিজ ।

ইনসেপশন, প্রেস্টিজ, ডানকার্ক, মোমেন্তো বা আইএমডিবি রেটিংয়ে সেরা পাঁচে থাক ডার্ক নাইট নাম তো শুনেছেনই আর এইসব মাস্টারপিস সব মুভির তৈরির পেছনের কারিগর ছিলেন "ক্রিস্টোফার নোলান"। যার মুভি মানে রহস্য, একটা মুভি দেখতে বসলে সেই মুভির ভেতর আপনি এমন ভাবে হারিয়ে যাবেন যেনো নিজেকে মনে হবে ইনসেপশনের কবের চরিত্রে আপনি। বের হতেই পারছেন না রহস্যের জগৎ থেকে। ফলোয়িং থেকে শুরু করে আপকামিং টেনেট, নিজেকে করে তুলছেন নিজের রহস্যময় ছবির মতো এক চরিত্র হিসেবে।
                                                                          
ইংল্যান্ড ক্রিকেট৷ ক্রিকেটের জন্মভূমি। ফাস্ট বোলার, ব্যাটসম্যান, পিউর অলরাউন্ডার সব কিছুর কারখানা সেই ইংল্যান্ড। আর সেই ইংল্যান্ডের একটি জায়গা হলো বার্নলি। আর সেই ইউরোপে ছিল বিখ্যাত সুতার ফ্যাক্টরিগুলো। রিভার ক্যালডার এবং রিভার ব্রুনের পানির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুতোর ফ্যাক্টরিগুলো চলতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুরো বার্নলি মুখ থুবড়ে পড়েছিলো।

দ্যা ক্লারেটস বা বার্নলি ফুটবল ক্লাব। ১৮৮৮ সালে তৈরি হওয়া এই ক্লাবটি ছিলো ইংল্যান্ডের সবচেয়ে পুরাতন ফুটবল ' দ্য ফুটবল লীগ' এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। হোম গ্রাউন্ড টার্ফ মুরে তারা করে চলেছে তাদের ফুটবল সাধনা। বিখ্যাত এই বার্নলি শহরটাকে মানুষ এর ক্লাবের জন্যই বেশি চিনে। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এবং প্রেস্টন নর্থ এন্ড এর পর তারাই একমাত্র ক্লাব যারা ইংল্যান্ডের চারটি পেশাদার লীগ স্তরের প্রতিটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

চার্লি গ্রিফিথ, নামতো শুনেছেন। ক্যারিবিয়ান পেস এটাকে ওয়েস হলের পার্টনার ছিলেন। দুইজন মিলে ধ্বসিয়ে দিতেন বিপক্ষ দলের ব্যাটিং লাইন আপ। আপনারা কি ভাবছেন, এখানে চার্লি গ্রিফিথের কথা আসলো কেন? চলুন জেনে আসি তাহলে সেটা ফুটবল ক্লাবের সাথে সেখানে একটা ছোট ক্রিকেট ক্লাবও আছে। গ্যালারীবিহীন সেই স্টেডিয়ামের চারপাশে রাস্তা দিয়ে বাউন্ডারি দেয়া আর সাথে দুই পাশে দুইটা সাইড স্ক্রিন, প্লেয়ারদের বসার জন্য কয়েকটা ছাতা আর একটি অফিস। তো সেই ক্লাব অফিসের ওয়ালে এই চার্লি সাহেবের ছবি ঝুলানো আছে। ১৯৬৪ সালে তিনি বার্নলি এর হয়ের ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলতে যান তিনি। আর সেই সীজনে তিনি ১৪৪ উইকেট নেন বার্নলির হয়ে।        
                                                                                  
ব্রিটিশ তারকার উত্থানঃ- " কি খবর মাইকেল, ছেলেকে নিয়ে এখানে যে? ", জিমি এর বাবার উদ্দেশ্য করে বললেন বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবের বার মালিক পল ব্লেকি। বাবা মাইকেল বললেন, ছেলেকে ক্রিকেটার বানাবো তাই। বিশ বছর আগে বার্নলি ক্লাবের হয়ে খেলা মাইকেলের ছেলেকে নিয়ে নেটে গেলেন ব্লেকি, যেই ছেলে খেলার সময় স্কোরারকে হেল্প করতো। আর সেদিন নেটেই শুরু হলো জেমস এন্ডারসন নামক এক রহস্যময় বোলারের গল্পের শুরু। সিম বোলিংয়ে লেট সুইং যেন সেদিন পল ব্লেকির হৃদয়ে জানান দিলো, বার্নলি এক্সপ্রেস আসছে।

১৭ বছর বয়সে বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন জিমি। সে সময় তিনি ল্যাঙ্কাশায়ার লীগের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন। ২০০২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্লাবের হয়ে অভিষেক হয়, আর সেই মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ৫০ উইকেট নেন তিনি। ২০০৩ সালে কাউন্টিতে সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে হ্যাট্রিক করেন তিনি। এন্ডারসন ছিলেন সেই সময়কার ডোমেস্টিকলীগের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলার।
                                                                                 
১৫ ডিসেম্বর, ২০০২; মেলবোর্নে ভিবি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে অভিষেক হয় জিমি এর। সেই ম্যাচে অতটা সফল ছিলেন না তিনি। ৬ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট আর সেটিং এডাম গিলক্রিস্টের উইকেট। সেই ম্যাচে গিলক্রিস্ট ১০৪ বলে ১২৪ রানের ইনিংস খেলে এবং অজিরা ৮৯ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।

এন্ডারসনকে বলা হয় 'লাল বলের রাজা' আর এই লাল বলের সাদা পোশাকে অভিষেক হয় রাজার বেশেই। ২০০৩ সালের ২২শে মে জিম্বাবুয়ের ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সফর। প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে লর্ডসে। বিখ্যাত লর্ডস, ক্রিকেটের হোমগ্রাউন্ড। সেই ম্যাচে অভিষেক হয় দুই ইংলিশ প্লেয়ারের একজন এন্থনি ম্যাকগ্রা আরেকজন জেমস এন্ডারসন। টস জিতে ফিল্ডিং নেয় জিম্বাবুয়ে। আর ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তান্ডব শুরু করে। মার্ক বুচারের ১৩৭, অভিষিক্ত এন্থনি ম্যাকগ্রা এর ৬৯ সাথে ট্রেসকোথিক এবং গিলসের হাফসেঞ্চুরি মিলে রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪৭২ এ। ব্যাটিংয়ে আসে জিম্বাবুয়ে। আর শুরু হয় এন্ডারসন ঝড়। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বল, লর্ডসের স্লোপের দিকে এগিয়ে আসছেন জিমি। মিডল স্ট্যাম্প টেম্পটেড ফুল লেংথের বল লেগ স্ট্যাম্পে না গিয়ে লেট সুইং করে অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিলো এন্ড দ্যান স্টার্ট দ্য এরা অব এন্ডারসনস ম্যাজিক্যাল লেট সুইং। আউট হবার পর মার্ক ভারম্যালন যেন স্বপ্ন দেখছেন, বিশ্বাসই হচ্ছেনা। যেন তিনি কোন এক রহস্যময় ধাঁধার উত্তর খুঁজছেন। এরপর একে একে তুলে নিলেন আরো চারটা উইকেট। দ্য মিস্টেরিয়াস লেট সুইং যেন এক নরক তৈরি করেছিলো ব্যাটসম্যানদের জন্য।

২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভয়ানক বোলিং দিয়ে নিজের জানান দিলেও দলে নিয়মিত ছিলেন না তিনি। ফর্ম আউট আর ইনের মাঝে চলেছিলো ২০০৭ পর্যন্ত। আর সেই বছরেই তিনি নিজের সেরাটা দেয়া শুরু করেন।

সাউদাম্পটনে ভারতের বিপক্ষে সেদিন খেলতে নামে ইংল্যান্ড। এন্ডারসনের তখন ৯৯টি ওয়ানডে উইকেট। আর বাকি একটি৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্যার এলিস্টার কুক এর ১০২ এবং ইয়ান বেল এর ১২৬ রানের ইনিংসে ভর করে ভারতকে ২৮৯ রানের টার্গেট দেয় ইংল্যান্ড। নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত৷ নিজেদের ইনিংসের ২.৩ বলে রান আউট হন সৌরভ গাঙ্গুলি। পঞ্চম ওভারের শেষ বল এন্ডারসন রান আপ নিচ্ছেন আর স্ট্রাইক প্রান্তে গৌতম গম্ভীর৷ এন্ডারসন একটা ফুলার বল ছাড়লেন এবং গম্ভীর খেললেন ফ্ল্যাট ফুটেড ড্রাইভ এবং ফলাফল হিসেবে এজড হয়ে ক্যাচ আউট হন প্রিয়র এর কাছে আর এদিকে এন্ডারসন শিকার করেন নিজের ১০০তম ওয়ানডে উইকেট। এরপর সেই ম্যাচে একে একে শচীন টেন্ডুলকার, যুবরাজ সিং এবং জহির খানকে আউট করে।

লাল বলের রাজা লাল বলে তো জাদু দেখাবে সেতো স্বাভাবিক৷ ২০০৮ এর ৭ আগস্ট আউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নামলো ইংল্যান্ড। বিপক্ষ দলে ম্যাকেঞ্জি, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জ্যাক ক্যালিস, মার্ক বাউচার, এবি ডি এর মতো প্লেয়াররা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে এসে প্রথমে ফ্লিনটপ আর হারমিসনের বোলিং তোপে পড়ে প্রোটিয়ারা৷ ৩২ তম ওভারের পঞ্চম এন্ডারসনের ইনসুইং ডেলিভারির ফাঁদে পড়ে আউট হন জ্যাক ক্যালিস এন্ড হান্ড্রেড টেস্ট উইকেট ডান ফর বার্নলি এক্সপ্রেস।

ড্যারেন গফকে চিনেন। বার্নলি থেকে উঠে আসা আরেকজন ফাস্ট বোলার। যিনি ১৫৬ ওয়ানডেতে ২২৯ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ওয়ানডেতে। ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে তিনি পেছনে ফেলেন ড্যারেন গফকে এবং ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে বর্তমানে সর্বোচ্চ উইকেট এর মালিক হন তিনি (২৬৯ উইকেট)।

২০১৫ এর মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেন তিনি। আর সেই ম্যাচে ৬ ওভার বল করে নেন ১ উইকেট। রঙীন পোশাকে এইটাই ছিলো জিমি এর শেষ ম্যাচ। তবে তিনি তার আসল জায়গায় ঠিকই আছেন। লাল বলের ক্রিকেট মানে টেস্টে।২০১৬ সালে জিমি এন্ডারসন প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে বাকী সব টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে ৫০ উইকেট লাভ করেন।

দ্য ক্লাব অব ৫০০- মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, কোর্টনি ওয়ালশ এবং অনিল কুম্বলে ততদিনে সেই ক্লাবের সদস্য। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট চাট্টিখানি কথা না। উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল করতে আসছে জিমি এন্ডারসন এবং ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে আউট করা ক্রেইগ ব্র‍্যাথওয়েট৷ উইকেট সংখ্যা ৪৯৯! বল ছাড়লেন এন্ড আ বিগ ইনসুইংগার৷ অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ইনসুইং করে ভেঙে দিলো মিডল স্ট্যাম্প। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ছেন ক্রেইগ আর অন্যদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম কোনো বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করে উদযাপনে ব্যস্ত জেমস এন্ডারসন। সেই ইনিংসে একে একে তিনি ৬ উইকেট নেন উইন্ডিজের। আর সেই পাঁচজনের পর ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট এর ক্লাবে পা দেন জেমস।

এন্ড দ্য লেগেসি কন্টিনিউস৷ জিমি এন্ডারসন, আসছেন, খেলছেন এবং খেলছেন। শুরুটা করেছিলেন স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথিউ হগার্ড, মার্ক বুচার, এন্ড্রু ফ্লিনটফদের সাথে; মাঝখানে স্টুয়ার্ট ব্রড, স্টিভেন ফীন, ক্রিস ট্রেমলেট, মাসকারেনহাস, সাইডবটম পথ ধরেছিলো আর এখন আছে আর্চার, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, লিয়াম প্লাঙ্কেটরা সাথে আছে স্টুয়ার্ট ব্রড। তিন জেনারেশন নিয়ে ইংল্যান্ডের টেস্ট টিম নিয়ে রাজত্ব করছে ক্রিকেট পাড়ায়।

আপনার কাছে মুত্তিয়া মুরালিধরন যদি ক্রিকেটের হ্যারি হুডিনি হয় তাহলে আমার কাছে জেমস এন্ডারসন ক্রিকেটের ক্রিস্টোফার নোলান। একটা গোলাকার লাল ডিউক বলকে দিয়ে যে রহস্যময় জগৎ তিনি বাইশ গজে তৈরি করেন সেটি কোনো অংশেই ক্রিস্টোফার নোলানের সেই মিস্টেরিয়াস মুভির চেয়ে কম নয়। ক্রিস্টোফার সাহেবের বিখ্যাত ডার্ক নাইট সিরিহের অদ্ভুতুড়ে আবিষ্কার জোকার খ্যাত হিথ লেজার যেমন মারা যাওয়ার পরেও পুরো জগৎ সেই মানুষটাকে মনে রেখেছে তেমনি সেই বার্নলি ক্রিকেট ক্লাব বারের মালিক পল ব্লেকির হাতে গড়া বার্নলি এক্সপ্রেসকেও ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে আজীবন। আর জেমস এন্ডারসন যদি হয় মাঠের ক্রিস্টোফার নোলান তাহলে পর্দার ক্রিস্টোফার নোলানই হবে হয়তো জেমস এন্ডারসন।