• নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    সাউদি ঝড় সামাল দিলেন লংকা ত্রয়ী

    সাউদি ঝড় সামাল দিলেন লংকা ত্রয়ী    

    স্কোর

    প্রথম দিন শেষে

    শ্রীলংকা ৮৭ ওভারে ২৭৫/৯ ( ম্যাথিউস ৮৩, করুনারত্নে ৭৯, ডিকভেলা ৭৩*; সাউদি ৬৭/৫, ওয়াগনার ২/৭৫)

     

    দিনের খেলার তখন চার ওভারও পেরোয়নি। এর মাঝেই নেই শ্রীলংকার তিন উইকেট। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ঝড়ে তখন লন্ডভন্ড লংকান টপ অর্ডার। সেই ঝড়ের মাঝে দলকে সামলেছেন তিন ব্যাটসম্যান। দিমুথ করুনারত্নে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও নিরোশান ডিকভেলা; তিনজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলংকা। সাউদির পাঁচ উইকেট নেওয়ার পড়েও প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা তাই পুরোপুরি নিউজিল্যান্ডের হতে দেননি করুনারত্নে-ম্যাথিউস-ডিকভেলা ত্রয়ী।

    ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ভুল সিদ্ধান্ত যে নেননি, সেটা প্রমাণ হয়ে যায় প্রথম বিশ মিনিটেই। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দানুস্কা গুনাথিলাকাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাউদি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাউদি ফেরান আরও দুই লংকান ব্যাটসম্যানকে। দ্বিতীয় বলে সাউদিকে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন দনঞ্জয়া ডি সিলভা, বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় কিপার বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে। ওভারের শেষ বলে সাউদিকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস, বল সোজা গিয়ে পড়েছে শর্ট মিড অনে দাঁড়ান আজাজ প্যাটেলের হাতে।

    মাত্র ৯ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল শ্রীলংকা। সেই সময় দলের হাল ধরেন করুনারত্নে- ম্যাথিউস। এই জুটি ব্যাট করেছে প্রায় দেড় সেশন। সাউদিকে দারুণভাবে সামলেছেন, অন্য বোলাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তাদের বিপক্ষে। ফিফটি করেছেন করুনারত্নে, ম্যাথিউস দুইজনই। ১৩৩ রানের জুটি অবশেষে ভাঙ্গে ৪৭তম ওভারে। নেইল ওয়াগনারের দারুণ এক বাউন্সারে করুনারত্নের গ্লোভসে বল লেগে চলে যায় ওয়াটলিংয়ের হাতে। সেঞ্চুরি থেকে ২১ রান দূরে থাকতেই ফিরতে হয় তাঁকে। দীনেশ চান্ডিমালকে ৬ রানে ফেরান সাউদি।

     

     

    সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ম্যাথিউসও। সাউদির বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন ম্যাথিউস, প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৩ রানে। এই নিয়ে টেস্টে অষ্টমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিলেন সাউদি। ৪৫ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পরে শ্রীলংকা।

    সেই অবস্থা থেকে আবারও দলকে টেনে তোলেন ডিকভেলা। করুনারত্নে-ম্যাথিউসদের চেয়ে অনেকটাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। অন্য প্রান্তে সঙ্গী না পেলেও একাই চালিয়ে গেছেন লড়াই। ১০ চারে সাজান ইনিংসে ৯১ বলে অপরাজিত আছেন ৭৩ রানে। প্রথম দিনে লংকানরা অলআউট হয়নি শেষ সেশনে তাঁর দৃঢ়তার জন্যই। কিছুটা থিতু হয়ে এসেছিলেন দিলরুয়ান পেরেরাও, ১৬ রানে কলিন গ্র্যান্ডহোমের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।

    লংকানদের হাতে আছে আর এক উইকেট। সেঞ্চুরি পেতে ডিকভেলার দরকার আরও ২৭ রান। দ্বিতীয় দিনে সঙ্গীর অভাবে কি সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েই মাঠ ছাড়তে হবে তাঁকে?