• নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    ল্যাথাম-উইলিয়ামসনে কিউইদের স্বপ্নের দিন

    ল্যাথাম-উইলিয়ামসনে কিউইদের স্বপ্নের দিন    

    স্কোর

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    শ্রীলঙ্কা ২৮২

    নিউজিল্যান্ড ৮৪ ওভারে ৩১১/২ (ল্যাথাম ১২১*, টেলর ৫০* উইলিয়ামসন ৯১; ডি সিলভা ১/৩০, কুমারা ১/৭৯)


    অনেক সময় স্কোরকার্ড ম্যাচের আসল ছবিটা ঠিকঠাক দেখাতে পারে না। আবার কখনো কখনো তা পারেও। আজকের ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের কথাই ধরুন। এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কার ২৮২ রান ছাড়িয়ে ২ উইকেটে ৩১১ রান তুলে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড, ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ২৯ রানে এগিয়ে গেছে। স্কোরকার্ড যা বলছে, আজ শ্রীলঙ্কার বোলাররা আসলেই সেভাবে কোনো সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং নিউজিল্যান্ড আফসোস করতে পারে, জিত রাভাল ও কেন উইলিয়ামসনের দুইটি উইকেটই উপহার দিয়ে এসেছে।

    রাভাল ও টম ল্যাথাম শুরুটা ভালোই করেছিলেন। স্কোরকার্ডে যখন ৫৯ রান, তখনই হলো ছন্দপতন। তাও আবার লাঞ্চের এক বল আগে। লাহিরু কুমারার শর্ট বলটা পুল করার মতো কোনো অবস্থাতেই ছিলেন না রাভাল। কিন্তু সেটি করতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দিলেন উইকেটের পেছনে। ৪৩ রান করেই ফিরে গেলেন।

    ল্যাথাম ও উইলিয়ামসনের হাত ধরে এরপর নিউজিল্যান্ডকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পেছনে। ল্যাথাম ছিলেন অতি সাবধানী, অন্যদিকে উইলিয়ামসন রান তুলছিলেন স্বচ্ছন্দে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা শুধু লাঞ্চের পর একটি রিভিউ নিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয় তা। এরপর বলতে গেলে লাহিরু কুমারা তাও একটু চেষ্টা করেছিলেন, বাকিরা হয়ে ছিলেন নিস্ফলা মাঠের কৃষক।

    ল্যাথাম ১২৩ বলে ফিফটি পেয়েছেন, তার পর পর উইলিয়ামন ফিফটি পেয়েছেন মাত্র ৪৫ বলে। সেঞ্চুরিতেও উইলিয়ামসন সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে সুইপ করতে গিয়েই টেনে আনলেন বিপদ, ৯৩ বলে ৯১ রান করে আউট হয়ে গেলেন। একটুর জন্য পাওয়া হলো না নিজের ২০তম টেস্ট সেঞ্চুরি।

    ল্যাথাম অবশ্য সেই সুযোগ আর হাতছাড়া করেননি। ধীরস্থির হয়েই ১১ টেস্ট পর পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। সর্বশেষ পেয়েছিলেন এই ভেন্যুতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে। উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৪১ রানের জুটির পর রস টেলরের সঙ্গে গড়েছেন ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এর মধ্যে টেলরও পেয়েছেন ফিফটি, ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ছাড়িয়ে হয়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার।

    তার আগে আগের দিনের সঙ্গে ৭ রান যোগ করে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষ আউটটাও করেছেন সাউদি, নিয়েছেন ৬ উইকেট।