• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা যাবে না

    দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা যাবে না    

    ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দুই দিন শেষে বাংলাদেশের দলের দিগন্তে আবারও আশার আলোকরেখা। কিন্তু তৃতীয় দিন বাংলাদেশের কাজটা কী হবে? পরের ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? প্যাভিলিয়নে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল


     

    টেল এন্ডাররাই প্রাথমিক লক্ষ্য

    তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের প্রথম কাজ, যত দ্রুত সম্ভব ওদের টেল এন্ডারদের আউট করে দেওয়া। সেই কাজটা যতটা সহজ মনে হচ্ছে, ততটা নাও হতে পারে। ওদের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা আমাদের আগেও কম ভোগায়নি। সেটা করার পর আসল কাজ হবে ব্যাটিংয়ে।

     

    লম্বা সময় ব্যাট করতে হবে

    প্রথম ইনিংসে আমরা খারাপ করিনি, তবে এই ইনিংসে কাজটা আরো কঠিন হবে। আগের টেস্টেও আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে এসে খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই টেস্টে আমাদের লক্ষ্য, যত বেশিক্ষণ সম্ভব ব্যাট করা। প্রথম ইনিংসে আমরা যেমন ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেছি, এবার সেই মনোভাব একটু বদলাতে হবে। অন্তত পাঁচ সেশন ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে হবে। সেজন্য একজনকে অন্তত একটা বড় ইনিংস খেলতে হবে। প্রথম ইনিংসে তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেনি। এবার তাদের দায়িত্বটাও একটু বেশি। তবে আমি বলব, সেই কাজটা যে কেউই করতে পারে। এমনকি শান্তরও একটা বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে।

     

    পঞ্চম দিনের সুবিধা নিতে হবে

    ক্রাইস্টচার্চের উইকেট দেখে যা মনে হচ্ছে, চতুর্থ দিনে খেলাটা কঠিন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য কালকের দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি সম্ভব উইকেট কম হারালে পরের দিনে একটু হলেও এগিয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশ। আর এই উইকেটে শেষদিন একেবারে ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি না হয়ে গেলেও খুব বেশি সহজ হবে না। সেক্ষেত্রে পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা নিতে পারে।

    বোলাররা মুগ্ধই করেছে

    দ্বিতীয় দিনের বোলিংয়ে আমি বেশ মুগ্ধ বলতে হবে। এমনিতেই এই টেস্ট বাংলাদেশের জন্য কঠিন একটা পরীক্ষা। ব্যাটসম্যানদের পর এখন পর্যন্ত বোলাররা যা করেছে, তাতে আমি মোটামুটি পূর্ণ নম্বরের কাছাকাছিই দেব। তাসকিন, মিরাজ শুরুতে তো খুবই ভালো বল করেছে, পরের দিকে রাব্বিও বেশ ভালো করেছে। রুবেলের কাছ থেকে চাওয়াটা আরেকটু বেশি ছিল, তারপরও অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নেমে খুব খারাপ করেনি। আর সাকিব তো বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে।

     

    সাকিবকে আরও আগে আনা যেত

    আমার কাছে মনে হয়েছে, সাকিবকে হয়তো আরেকটু আগে নিয়ে আসা যেত। যদিও নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেশি, ওই চিন্তা করেই হয়তো ওকে তখন আনা হয়নি। তবে স্যান্টনারকে আউট করে ওই কিন্তু ব্রেক থ্রুটা দিয়েছে। পরের দুইটি উইকেট অবশ্য ডানহাতিদের বিপক্ষে ছিল। আশা করি, কাল সকালে নিউজিল্যান্ডের টেল এন্ডারের লেজটা ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুড়ে দিতে পারবে।