প্লেয়ার রেটিং: ব্রাজিল-মেক্সিকো
এক নজরে দেখে নিন ব্রাজিল-মেক্সিকো ম্যাচে কে কেমন করলেন।
এলিসন ৬/১০
খুব বেশি কিছু করতে হয়নি আজ, একবার শুধু একটা শট হাত লাগিয়ে পোস্টের ওপর তুলে দিয়েছেন। কয়েকবার একটু নড়বড়ে মনে হয়েছে, তবে বড় পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।
থিয়াগো সিলভা
৭.৫/১০
রক্ষণে ছিলেন একদম নিরাট। মেক্সিকোর ফরোয়ার্ডের বক্সে কিছু করা সুযোগই দেননি খুব একটা। অধিনায়কের মান রেখেছেন।
মিরান্ডা
৭.৫/১০
দারুণ কিছু ট্যাকল করেছেন, সিলভার সঙ্গে রক্ষণে ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন।
ফ্যাগনার
৭/১০
শুরুতে একদমই নড়বড়ে ছিলেন, তাঁকেই টার্গেট বানিয়েছিল মেক্সিকো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-রক্ষণে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্যাকলও করেছেন।
ফেলিপে লুইস
৬.৫/১০
মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল খাবি খাচ্ছেন রক্ষণে, বেশ কিছু ক্রসও হয়েছে তাঁর প্রান্ত থেকে। বড় কোনো ভুল করেননি, ওভারল্যাপে সপ্রতিভও ছিলেন।
কাসেমিরো
৭/১০
আরও একবার দেখিয়েছেন কেন এই সময়ের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের একজন বলা হয় তাঁকে। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে ব্রাজিল ভালোভাবেই মিস করতে পারে।
পাওলিনহো
৬/১০
মধ্যমাঠে মাঝেমধ্যেই একটু খেই হারিয়ে ফেলেছেন মনে হচ্ছিল। গোল করার একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু সরাসরি ওচোয়ার দিকে মেরে দিয়েছেন কিক।
কৌতিনহো
৬.৫/১০
তুলনামূলকভাবে বেশ নিষ্প্রভ ছিলেন আগের তুলনায়। কয়েক বার বল হারিয়েছেন, দূর থেকে শটেও সুবিধা করতে পারেননি।
নেইমার
৮/১০
ব্রাজিলের হয়ে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ। একটি গোল করেছেন, আরেকটি করিয়েছেন। করতে পারতেন অন্তত আরও দুইটি।
উইলিয়ান
৮/১০
সম্ভবত এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে রক্ষণে নেমে ফ্যাগনারকে সাহায্য করেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত এক দৌড়ে নেইমারকে দিয়ে গোল করিয়েছেন। ওচোয়া বাধা না হলে একটা গোলও পেতে পারতেন।
গ্যাব্রিয়েল হেসুস
৬/১০
আরও একবার একাদশে নিজের যথার্থতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ। লিঙ্ক আপ ভালো ছিল অবশ্য, কিন্তু ফিনিশিংটা ঠিক স্ট্রাইকারসুলভ ছিল না।
বদলি
রবার্তো ফিরমিনো
৮/১০
যে সময়ে নেমেছেন, খুব বেশি কিছু করার ছিল না। এর মধ্যেই একটা গোল পেয়ে গেছেন, আবারও একাদশে থাকার দাবি জানিয়েছেন।
ফার্নান্দিনহো
৮/১০
শেষ দিকে নেমে দ্বিতীয় গোলে নেইমারকে পাসটা তিনিই দিয়েছিলেন।
মেক্সিকো
গিলের্মো ওচোয়া
৮/১০
আরও একবার ব্রাজিলের সামনে বাধা হয়ে গিয়েছিলেন, গোটাপাঁচেক সেভও করেছেন। দুইটি গোলেই তাঁর কিছু করার ছিল না।
আলভারেজ
৭/১০
বেশ কিছু দারুণ ওভারল্যাপ করেছেন, লুইসকে ভুগিয়েছেন ভালোই।
আয়ালা
৬/১০
দূর থেকে একটা শটে পরীক্ষা নিয়েছিলেন এলিসনের, কিন্তু রক্ষণে নিজের কাজটা করতে পারেননি ঠিকঠাক।
সালসিদো
৫.৫/১০
শুরুতে বেশ নিরেট মনে হচ্ছিল, কিন্তু পরে ব্রাজিলের আক্রমণের সামনে বেশ জবুথবু মনে হচ্ছিল তাঁকে।
গ্যালার্দো
৬/১০
ওভারল্যাপ করে শুরুতে বেশ কিছু ক্রস করেছিলেন, কিন্তু পরের দিকে উইলিয়ানের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি।
হেক্টর হেরেরা
৬.৫/১০
শুরুতে বেশ সপ্রতিভ মনে হচ্ছিল, কৌতিনহোকে জায়গা দেননি খুব একটা। কিন্তু পরের দিকে বেশ কিছু বল হারিয়েছেন।
রাফায়েল মার্কেজ
৫/১০
প্রথমার্ধে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে, বিরতির পর রেকর্ড গড়া অধিনায়ককে তুলে নিয়েছেন কোচ।
আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো
৬/১০
রক্ষণে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও আক্রমণে বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
কার্লোস ভেলা
৭/১০
মেক্সিকোর আক্রমণে যা একটু চেষ্টা করেছেন তিনিই। তবে দূর থেকে নেওয়া শটে এলিসনকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।
হাভিয়ের হার্নান্দেজ
৫/১০
পুরো ম্যাচে সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি তাঁকে। ব্রাজিলের রক্ষণ বোতলবন্দি করে রেখেছিল তাঁকে।
হারভিং লোজানো
৬/১০
এক দুবার প্রথম ম্যাচের ঝলক দেখালেও ফাইনাল থার্ডে পাস ছিল হতাশাজনক।
বদলি
লায়ুন
৬/১০
মার্কেজের চেয়ে সামান্য ভালো ছিলেন, তবে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি
বদলি হিসেবে নেমেছিলেন জোনাথন দস সান্তোস ও হিমেনেজ।