• প্লেয়ার রেটিং
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং : সুইজারল্যান্ড-সুইডেন

    প্লেয়ার রেটিং : সুইজারল্যান্ড-সুইডেন    

    সুইজারল্যান্ড

    ইয়ান সোমার ৬/১০
    শুরুতেই একটা ভুল করে দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। ২৮ মিনিটে বার্গের শট সেভ করে অবশ্য ফিরে এসেছিলেন আবার। সুইডেনের গোলে তেমন কিছুই ছিল না করার।  

    মাইকেল ল্যাং ৪/১০
    প্রথমার্ধে ভালো একটা ক্রস করেছিলেন, কিন্তু জায়গামতো ছিলেন না কেউই। ফোর্সবার্গকে মার্ক করতে ভুগেছেন পুরো ম্যাচেই। শেষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন।


    ইয়োহান ডিজরু ৫/১০

    আকাঞ্জির সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন, তার ভুলগুলো চোখ এড়িয়ে গেছে আকাঞ্জির জন্যই।
     

    ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ৬/১০  
    প্রথমার্ধে বার্গের শট ব্লক করে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ফোর্সবার্গের শটটাও ব্লক করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পায়ে লেগে সেটা ঢুকে গেছে নিজের জালেই।  

    রিকার্ডো রদ্রিগেজ ৪/১০
    সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে তার কাছ থেকে ভালো ক্রস পায়নি সুইজারল্যান্ডের আক্রমণভাগ।

    ভ্যালন বেহরামি ৪/১০
    শুরুর বেশকিছুক্ষণ রক্ষণেই কাটিয়েছেন। আজ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মাঝমাঠেও বলের দখল নিতে পারেননি।     

    গ্রানিত শাকা ৪/১০
    গড়পড়তা মানের পারফরম্যান্স। দূর থেকে শট মারার সুযোগ পাননি, মাঝমাঠে অহেতুক ট্যাকেল করে খেলার গতি কমিয়েছেন। বেশ কয়েকবার বলও হারিয়েছেন ভালো জায়গা থেকে।  


    জের্দান শাকিরি ৭/১০  
    শুরু থেকেই দারুণ খেলেছেন। ডান দিক থেকে করা তৃতীয় ক্রসটাই ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। যুবের ঠিকমতো হেডটা করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে একটা হাফ চান্স থেকে গোল করতে পারতেন। এরপরে আরও একবার ক্রস করেছিলেন।    

    ব্লেমির জেমাইলি ৫/১০
    প্রথমার্ধে দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন নিজেই। কিন্তু ভালো জায়গা থেকেও লক্ষ্যে শুট করতে পারেননি।   

    স্টেফান যুবের ৬/১০
    জেমাইলির সঙ্গে তার ওয়ান টু প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ডের সেরা আক্রমণ ছিল। ২৪ মিনিটে নিজেও একটা গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন।  

    জসিপ ড্রমিচ ৪/১০
    প্রথমার্ধে একাই পড়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধেও একই অবস্থা। পুরো ম্যাচে তেমন কিছুই করতে পারেননি।  

    বদলি
    ব্রিল এম্বোলো, হারিস সেফেরোভিচ ৬/১০ 
    দুইজনই ৭৩ মিনিটে নেমেছিলেন, বাকি সময়ে দুইজনই একটি করে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। আরেকটু ভালো করলে হয় সুইসদের ভাগ্যটাই বদলে যেতে পারত।  



    সুইডেন

    রবিন ওলসেন ৭/১০  
    বেশ কয়েকটি ক্রস আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে এসে লুফে নিয়েছিলেন। ৯১ মিনিটে হারিস সেফেরোভিচের একটা হেডও ঠেকিয়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন।
           
    মাইকেল লুস্টিগ ৭/১০
    মাঝমাঠে একটা ফাউল করে প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ড দেখছিলেন। অবশ্য পরে সেটার প্রভাব পড়েনি তার খেলা, গুছিয়ে নিয়েছেন সময়ের সঙ্গেই। রিকার্ডো রদ্রিগেজকে পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন।   

    ভিক্টর লিন্ডেলফ ৮/১০   
    পুরো ম্যাচেই অসাধারণ খেলেছেন। কোনো সুযোগই দেননি সুইস স্ট্রাইকারদের।

    আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ট ৮/১০
    অধিনায়ক খেলেছেন অধিনায়কের মতোই। রক্ষণে প্রায় নির্ভুল ছিলেন। সুইসদের মিডফিল্ডাররা ডিবক্সের ভেতর ঢুকে পড়লেও তাদের কড়া পাহারায় রেখেছিলেন।  

    আগুস্টিনসন ৬/১০
    আক্রমণে ভালোই খেলেছেন, তবে শাকিরিকে আটকাতে পুরো ম্যাচেই হিমশিম খেয়েছেন। ম্যাচ শেষে সেন্টারব্যাকদের ধন্যবাদ দিতেই পারেন!
     
    ভিক্টর ক্লেসন ৭/১০
    ৬৫% সফল পাস দিয়েছেন। মাঝমাঠে দলকে বল ধরে রাখতেও সাহায্য করেছেন।

    গুস্তাভ সেভেনসন ৬/১০
    ম্যাচটা তেমন ভালো যায়নি জেমাইলি, যুবেরদের সেভাবে মার্ক করতে পারেননি। আক্রমণেও তেমন সাহায্য করতে পারেননি দলকে।
      
    আলবিন আকদাল ৬/১০
    দুইদলের মধ্যে প্রথমার্ধে সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন আকদাল, ডান দিক থেকে আসা ক্রসে ফাঁকায় থেকেও গোলটা করতে পারেননি। পরে ডিবক্সের বাইরে থেকেও একবার চেষ্টা করেছিলেন, তাতেও কাজ হয়নি।   

    এমিল ফোসবার্গ ৮/১০
    সুইডেনের প্রায় সব আক্রমণেরই প্রাণভোমরা ছিলেন। প্রথমার্ধে তার নেওয়া একটা ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ করেনি। শেষ পর্যন্ত তিনিই গোলটা করেছেন। এই বিশ্বকাপে ১৪ তম শটে এসে গোল পেলেন তিনি। শেষদিকে সুইসদের একটা হেড ক্লিয়ার করেছেন নিজের গোললাইন থেকে।      

    ওলা টইভোনেন ৬/১০  
    সুইডেনের আক্রমণে তেমন দেখা যায়নি তাকে। তবে লং বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সুইজারল্যান্ডকে ভুগিয়েছেন বেশ কয়েকবার।   

    মার্কস বার্গ ৫/১০
    প্রথমার্ধেই দুই দারুণ দুটো গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। তার ভালো ফিনিশের অভাবেই জয়ের ব্যবধানটা বাড়েনি সুইডেনের।  

    মার্টিন ওলসন, এমিল ক্রাফট, ইসাক থেলিন 
    ওলসন ছাড়া বাকিদের তেমন প্রভাব ছিল না খেলায়।