• প্লেয়ার রেটিং
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া

    প্লেয়ার রেটিং: ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া    

    ইংল্যান্ড

    জর্ডান পিকফোর্ড ৮.৫/১০

    ইতিহাসই রচনা করলেন আজ। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপে প্রথমবার পেনাল্টি শুটআউট থেকে জয় নিয়েই ফিরল ইংল্যান্ড। ম্যাচেও ছিলেন দারুণ। ৯৩ মিনিটে উরিবের আগুনে শট অবিশ্বাস্যভাবে না ফেরালে হয়ত আবারও শেষ ষোল থেকেই বিদায় নিতে হত ইংল্যান্ডকে।

    কাইল ওয়াকার ৫.৫/১০

    পুরো ম্যাচেই একেবারে নড়বড়ে ছিলেন। ৮৪ মিনিটে তার ভুলেই প্রতি আক্রমণে আরেকটু হলে সমতায় ফিরত কলম্বিয়া। প্রেসিংয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন।

    জন স্টোনস ৭/১০

    আবারও নিজেকে প্রমাণ করে ছাড়লেন। কলম্বিয়ার ক্রসনির্ভর খেলায় তার ক্লিয়ারেন্সের কারণেই সুযোগ পাননি ফালকাওরা। ট্যাকলিং, রক্ষণ থেকে পাস ছাড়ার কাজটাও করেছেন দারুণভাবে।

    হ্যারি ম্যাগুয়ের ৬.৫/১০

    কলম্বিয়ার গোলে দোষটা ছিল তারই। তবে ঐ এক মুহুর্ত বাদে পুরোটা ম্যাচই ছিলেন স্বরূপে। লম্বা পাসগুলো ছিল দেখার মত।

    কিরেন ট্রিপিয়ের ৭.৫/১০

    ‘নতুন বেকহাম’ ট্যাগটার প্রতি সুবিচার করলেন আবার। ফুলব্যাক হয়ে আক্রমণে কেইনদের যেমন সাহায্য করেছেন, তেমনি নিচে নেমে ওয়াকারদেরও সাথে রক্ষণের কাজটা করেছেন। শুটআউটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডের ইতিহাস রচনায় সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন।

    জেসি লিনগার্ড ৬/১০

    একেবারেই অনুজ্জ্বল ছিলেন পুরো ম্যাচ। স্বভাবসুলভ ড্রিবলিং, ক্ষীপ্র গতির দৌড়গুলোও নিতে পারেননি আজ। কেইনদেরও বল বানিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    জর্ডান হেন্ডারসন ৬.৫/১০

    পেনাল্টি মিস করে দলকে প্রচন্ড চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। তবে ম্যাচের পারফরম্যান্সের হিসাবে বেশ ভাল করেছেন। ট্যাকল গুলো ছিল দেখার মত। বলও হারিয়েছেন খুব কম সময়।

    ড্যালে আলি ৫/১০

    ইনজুরি থেকে মাত্র ফিরেছেন। খেলায় সেই ছাপটা এখনও স্পষ্ট। নিজেকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন আজ।

    অ্যাশলি ইয়ং ৬.৫/১০

    বয়সের ছাপের ছিঁটেফোঁটাও নেই খেলায়। কলম্বিয়ার ফুলব্যাক আরিয়াসকে তটস্থই রেখেছিলেন পুরো ম্যাচ। আবার প্রতি আক্রমণে কুয়াদ্রাদোদের আটকানোর কাজটাও করেছেন দারুণভাবে।

    রহিম স্টার্লিং ৫/১০

    ঠিক কী কারণে প্রত্যেক ম্যাচের মূল একাদশে খেলছেন, এখনও বোঝা যাচ্ছে না সেটা। ইংলিশদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খেলেছেন আজ। ডিবক্সে বল পেয়েছেন মাত্র ৩বার পুরো ম্যাচে।

    হ্যারি কেইন ৯/১০

    আবারও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। ১২০ মিনিটই ছিলেন স্বরূপে। পেনাল্টিটাও আদায় করে নিয়েছেন। বল দখল আর পজেশন ধরে রাখার কাজটায় ছিলেন নির্ভুল। শুটআউটেও গোল করেছেন।

     

    বদলি

    এরিক ডায়ার ৭/১০

    ম্যাচে বেশ ভালোই করেছিলেন। আলির জায়গায় নেমে মাঝমাঠ থেকে পাস যুগিয়েছেন বেশ। আবার বল কেড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ছিলেন সমান দক্ষ। জয়সূচক পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে নিয়ে গেছেন শেষ আটে।

    জেমি ভার্ডি ৬/১০

    নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে নেমেছিলেন। শ্রান্ত কলম্বিয়ার রক্ষণভাগের বিপক্ষে তার গতির প্রদর্শনটা ঠিকমত করতে পারেননি। উলটো মিনা-সানচেজদের পকেটেই ছিলেন নামার পর থেকে।

    ড্যানি রোজ ৫.৫/১০

    ইয়ংয়ের জায়গায় নেমেছিলেন। কিন্তু পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই গড়পড়তা। বেশ কয়েকবার ক্রস করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু একবারও কেইনদের খুঁজে পাননি। বলও হারিয়েছেন মোট ৬বার।

    মার্কাস রাশফোর্ড

    ১১৩ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় প্রভাব ফেলতে পারেননি।

     

     

     

    কলম্বিয়া

    ডেভিড ওসপিনা ৭.৫/১০

    হেন্ডারসনের পেনাল্টি রুখে দিয়ে দলকে পরের রাউন্ডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। তবে ম্যাচজুড়েই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে গোলকিকগুলো ছিল মাপা। আর ভেসে আসা ক্রসগুলো তালুবন্দি করেছেন নির্ভুলভাবে।

    সান্তিয়াগো আরিয়াস ৫.৫/১০

    রক্ষণে স্টার্লিংকে দমিয়ে রাখলেও উপরে উঠে একদমই সুবিধা করতে পারেননি। ফাউল করেছেন প্রচুর। হলুদ কার্ডও দেখেছেন। লক্ষ্যভ্রষ্ট ক্রসের পসরাই সাজিয়ে বসেছিলেন রীতিমত।

    ইয়েরি মিনা ৮/১০

    ট্র্যাজেডির নায়ক। কেইনের মত এক ফরোয়ার্ডের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। দল যখন বিদায়ঘণ্টার অপেক্ষায়, তখনই যোগ করা সময়ে গোল করে দলকে ফেরালেন ম্যাচে। কিন্তু শেষমেশ খালি হাতে ফিরতে হলেও মাথা উঁচু করেই রাশিয়া ছাড়লেন।

    ডেভিনসন সানচেজ ৭.৫/১০

    রক্ষণে মিনার সাথে এক দুর্ভেদ্য দেয়ালই গড়ে তুলেছিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ডদের জন্য। ট্যাকলিং, ক্লিয়ারেন্স- সবই ছিল দারুণ। কর্ণার থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তার হেড আরেকটু হলেই জড়াত ইংল্যান্ডের জালে।

    ইয়োহান মোহিকা ৬.৫/১০

    লেফট উইঙ্গার হিসেবেই খেলেছেন প্রায় পুরোটা ম্যাচ। কিন্তু ক্রসগুলো খুবই সাধারণ মানের ছিল। রক্ষণে ফাঁকা জায়গা রেখে উপরে উঠে যাওয়ায় প্রতি আক্রমণে ইংলিশদের বিপক্ষে কিছুটা বিপাকেই পড়েছিল কলম্বিয়ানরা।

    কার্লোস সানচেজ ৫/১০

    আবারও ফ্লপ। হেন্ডারসন-আলিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। বল কেড়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন অনেকবার। একাধিক ফাউলের কারণে দেখেছিলেন হলুদ কার্ডও।

    উইলমার বারিওস ৪.৫/১০

    প্রথমার্ধেই লাল কার্ড পাওয়াটা তার প্রাপ্যই ছিল। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও পুরো ম্যাচে তাকে খূঁজেই পাওয়া যায়নি তেমন। ইংলিশ মিডফিল্ডারদের সাথে শক্তিমত্তায় পেরে উঠেননি।

    জেফারসন লেরমা ৬.৫/১০

    কলম্বিয়ার মাঝমাঠের সেরা পারফরমার। রক্ষণের সামনে রীতিমত এক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। দু’বার ডিবক্সে কেইনকে ট্যাকেল করে বল কেড়ে নিয়েছেন। উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের সেরাটাই দিয়েছেন।

    হুয়ান কুয়াদ্রাদো ৬/১০

    ইংল্যান্ডের অর্ধেই ছিলেন ম্যাচের বেশিরভাগ সময়। কিন্তু ফালকাওয়ের সাথে বোঝাপড়ার অভাবটা ধরা দিয়েছে প্রকটভাবে। উদ্দেশ্যবিহীন ক্রসে বলও হারিয়েছেন অনেকবার।

    হুয়ান কুয়েন্তেরো ৬.৫/১০

    আবারও নিজেকে চেনালেন। উইং বা মাঝমাঠ- দু’খানেই কলম্বিয়ানদের আক্রমণভাগের ‘তুরুপের তাস’ ছিলেন তিনিই। ফালকাওদের বার কয়েক বুদ্ধিদীপ্ত পাস যুগিয়েছিলেন, কিন্তু ইংলিশ রক্ষণের দৃঢ়তায় ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। পেনাল্টি থেকে অবশ্য গোল করেছিলেন ঠিকই।

    রাদামেল ফালকাও ৫.৫/১০

    হামেসের অনুপস্থিতিতে তার দিকেই তাকিয়ে ছিল সমগ্র কলম্বিয়া। কিন্তু আবারও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন ‘এল তিগ্রে।’ পেনাল্টি থেকে গোলের আগে তেমন কিছুই করতে পারেননি ম্যাচে।

     

    বদলি

    কার্লোস বাক্কা ৫/১০

    গোলের আশায় তাকে নামিয়ে দিয়েছিলেন পেকারম্যান। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হলেন তিনি। ম্যাগুয়ের-স্টোনসের বিপক্ষে একদমই সুবিধা করে উঠতে পারেননি।

    মাতিউস উরিবে ৪.৫/১০

    কলম্বিয়ার অন্যতম বাজে পারফরম্যান্স ছিল আজ তার। ৮৯ মিনিটে আগুনে এক শট বাদে তেমন কিছুই করতে পারেননি। ফরোয়ার্ডদের সাথে বোঝাপড়ার অভাবটা ছিল চোখে পড়ার মত। শুটআউটে মিস করেছেন পেনাল্টিও।

    লুইস মুরিয়েল ৫.৫/১০

    উইং দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ট্রিপিয়েরের দৃঢ়তার সাথে পেরে উঠেননি। এরপর ফালকাওয়ের সাথে ‘সেকেন্ড স্ট্রাইকার’ হিসেবেও ছিলেন অনুজ্জ্বল। কুয়াদ্রাদোর মতই ম্যাচের হাইলাইট ছিল শুটআউটে পেনাল্টি থেকে গোল।

    ক্রিশ্চিয়ান জাপাতা

    ১১৬ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় প্রভাব ফেলতে পারেননি।